সিলেটে সুরমা নদীর পা‌নি আবার বিপৎসীমার ওপরে

সিলেটে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। পানিতে টইটম্বুর সিলেটর সুরমা নদী। আজ রোববার কিনব্রিজ এলাকার চাঁদনীঘাট থেকে তোলা
ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে গতকাল শনিবার বেলা তিনটা থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল। গতকাল সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত সেটি অব্যাহত থাকার পর আজ রোববার সকাল ছয়টায় বিপৎসীমা থেকে নেমে যায়। তবে বেলা তিনটা থেকে নদীর পানি আবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।

নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ছিল ১২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। রোববার সকাল ছয়টায় সেখানে বিপৎসীমা থেকে নেমে ১২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার হয়েছিল। রোববার বেলা তিনটায় আবার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত শুরু করে। সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। পাউবো সূত্রে আরও জানা গেছে, সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে শনিবার সর্বশেষ ৯ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, সেখানে রোববার দুপুর ১২টায় ১০ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ছয়টায় কিছুটা কমে ৯৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শনিবার ছিল ১১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় নদীর ওই পয়েন্টে ১১ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, সেখানে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় প্রবাহিত হচ্ছিল ৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় নদীর ওই পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সারী নদীর সারীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার সেখানে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ১১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ধলাই নদের ইসলামপুর পয়েন্টে পানি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ৯ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।  

এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) এরই মধ্যে অবহিত করা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ছয়টা থেকে রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আরও কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।