পাবনায় অস্ত্র কেনাবেচার ভিডিও ভাইরাল, অভিযোগ ওঠার পর যুবদলের বিবৃতি
পাবনায় অস্ত্র কেনাবেচার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ভিডিওতে অস্ত্র কেনাবেচা করতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁরা এলাকায় যুবদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আজ বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে জেলা যুবদল।
ছড়িয়ে পড়া ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছয় থেকে সাতজন ব্যক্তি, সবাই লুঙ্গি পরা। তাঁদের মধ্যে একজন টাকা গুনছেন, অন্য একজন একটি আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষা করে দেখছেন। তাঁদের একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘নষ্ট, পুরোনো নাকি। ঠিক আছে তো?’ জবাবে অপরজন বলেন, ‘লস্টও লয়, পুরাতনও লয়, সব ঠিক আছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি জেলা সদরের চরতারাপুর এলাকার। তবে ভিডিওতে দেখা ব্যক্তিদের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের দাবি, ভিডিওটি পুরোনো। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত স্থানীয় কিছু যুবক পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। বর্তমানে তাঁরা এলাকায় ফিরে মাদক, অস্ত্রের ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন দল ও ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে এসব অপরাধ করছেন।
ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিরা যুবদলের কর্মী, এমন অভিযোগ ওঠার পর এ ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জেলা যুবদল। জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পাবনায় যুবদলের পরিচয়ে অস্ত্র ব্যবসা’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ভিডিও সম্পর্কে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইলিয়াস আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মনির আহম্মেদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, ভিডিওতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের কারও মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না বা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি তাঁদের দলের কর্মী নন।
দলের কেউ বা দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ এমন অপকর্ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। পাশাপাশি দলের সাধারণ সদস্য থেকে শুরু করে কোথাও কোনো দিন এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের স্থান হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভিডিওটি অনেক পুরোনো। নতুন করে এটাকে কেউ সামনে এনেছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল তদন্ত করছে। আশা করছি, খুব শিগগির পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’