ফুল দেওয়া নিয়ে পটুয়াখালী বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের হট্টগোল
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময়ের একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাংশু সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে রাতে কার্যালয়ে যান বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে তাঁরা কার্যালয়ে মিছিলসহ প্রবেশ করেন। এ সময় জেলা শ্রমিক দলের ব্যানারে একটি পক্ষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে গেলে ছাত্রদলসহ কার্যালয়ে অবস্থানরত অন্য নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে চাইলে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়।
শ্রমিক দলের কর্মী মো. হুমায়ুন বলেন, ‘ছাত্রদলের অপরিচিত কয়েকজন আমাদের অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে আমাকে কিল-ঘুষি দেওয়া হয়। ডান চোখের নিচে আঘাত লেগে জখম হয়েছে। আমার সঙ্গে থাকা জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুলসহ আরও কয়েকজন লাঞ্ছিত হয়েছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীরা তাড়াহুড়া করে ঢুকতে গেলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. বেলাল হোসেনের পায়ে পা লেগে যায়। তখনই হট্টগোল বাঁধে, এরপর হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা বেলাল হোসেন বলেন, ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি অফিসে ঢুকে হট্টগোল শুরু করেন। পরে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় তিনি জানেন না বলে জানান।
জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জাকারিয়া আহম্মেদ বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের না চেনার কারণে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।
জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল বলেন, নিজেদের মাঝে একটু ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে, আর কিছুই নয়।