চাটুকার এমপি-মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে রাখাল হওয়া ভালো: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। বুধবার বিকেলে উপজেলার আষাড়িয়াচালায়
ছবি: প্রথম আলো

চাটুকর সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে মানুষের বাড়িতে রাখাল হওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপজেলার আষাড়িয়াচালা শওকত আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অনেকে রাজনীতি করেন এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য। আর আমি রাজনীতি করি সম্মানের জন্য। চাটুকার এমপি-মন্ত্রী হওয়ার চাইতে মাইনষের বাড়িতে রাখাল হওয়া অনেক ভালো।’

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো প্রেম করি নাই। আমার প্রেম বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখে রাজনীতিতে এসেছি। তা না হলে আমি রিকশাওয়ালা হতাম, গরুর রাখাল হতাম। যত দিন বেঁচে থাকব, বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে বাঁচব।’

আরও পড়ুন

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সবকিছুর দাম কিন্তু বেড়েছে। আমি বিএনপিকে দেখতে পারি না। বিএনপি খালি সরকারে যেতে চায়। চালের দাম বাড়ল, তেলের দাম বাড়ল, পেট্রলের দাম বাড়ল, সবকিছুর দাম বাড়ল। কিন্তু এ নিয়ে একদিন বিএনপিকে রাস্তায় শুতে দেখলাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা বলেন, “পাকিস্তান ভালো ছিল।” আমি তাঁকে বলব, যাঁদের এ দেশে ভালো লাগে না, তাঁরা পাকিস্তান চলে যান তাড়াতাড়ি। মরি-বাঁচি সুখে-দুঃখে দেশেই থাকব। আমি ভুল করতে পারি, তবে জেনেশুনে কোনো অন্যায় করিনি।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘মানুষ হবে দেশের মালিক। কিন্তু আজ দেশের মালিক দারোগা-পুলিশ অফিসাররা। যাঁরা চুরি কইরা টাকা কামাইছে, আজ তাঁরা মালিক। আমরা এ দেশ চাই না। চুরি করার জন্য জন্মাই নাই, মানুষের সেবা করার জন্য জন্মাইছি। একবার শক্ত করে গামছাটা ধরেন, আপনাদের সম্মান বাড়বে।’

আরও পড়ুন

ঘাটাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে দলটির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি আবদুল হালিম সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ টি এম আবু সালেক, ঘাটাইল উপজেলার সভাপতি আবদুল হালিম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, ধলাপাড়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক বুলবুল হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।