কলমাকান্দায় বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্যবাজার এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর এ হামলা চালান। হামলায় বিএনপির অন্তত চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্যবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর আজ বিকেলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মধ্যবাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের তালা খুলে ভেতরে বসেন। এ সময় কার্যালয়ে নতুন একটি সিলিং ফ্যান ও কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার আনা হয়।

সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় স্লোগান দিয়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। মিছিলকারীদের মারমুখী মনোভাব দেখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হতে যাচ্ছিলেন। এ সময় মিছিলকারীরা কার্যালয়ে ঢুকে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এরপর চেয়ার ও একটি সিলিং ফ্যান ভাঙচুর করেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ খায়ের মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক যুগ পর আমরা দলীয় কার্যালয় খুলে বৃহস্পতিবার বিকেলে বসে সাংগঠনিক কথাবার্তা বলছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় প্রায় ১৫টি চেয়ার ও একটি ফ্যান ভাঙচুর করা হয়।’

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারেছ রহমান, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন। তাঁরা হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা পলাশ বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী বিএনপির কার্যালয়ে হামলা বা কোনো নেতা-কর্মীকে মারধর করেননি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে যতটুকু শুনেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এখন সরকারি দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই নয়।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এ নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানান।