সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতার, ভাঙচুর ও হুমকির অভিযোগ

কুষ্টিয়া-৪ আসনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রউফ। মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রউফ। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফের সমর্থকেরা তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন ও তাঁর কুমারখালীর বাসায় হামলা চালিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন।

আবদুর রউফ বলেন, ‘কুমারখালী-খোকসায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি মনে করি না। নির্বাচন কমিশনের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বসে আছেন। ঠিক তার আধা ঘণ্টা আগে আমার আমলাবাড়িয়া নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। গত রাতে আমি গ্রামের বাড়িতে বসেছিলাম। হঠাৎ ফোনে জানানো হলো, আমার কুমারখালীর বাসায় রফিক কাউন্সিলর, বাবু কাউন্সিলর ও শাহিন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় মদ্যপায়ী কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।’

এ ছাড়া দুর্বৃত্তরা তাঁর বাসার সামনে টানানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে অভিযোগ করে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ বলেন, ‘সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে বলেছেন, এটা এ বাড়ির ছেলেপেলেও করতে পারে। এর আগেও আমার কর্মীকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে। টিপু বাহিনীর কিছু সন্ত্রাসী আমার কর্মীদের কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তারা বলেছে, ভোটও দিবি, চাঁদাও দিবি। এই টিপু, সেলিম নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের লোক।’ সন্ত্রাসীদের ধরে আইনের আওতায় আনার এবং এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর টহল বাড়ানোর দাবি জানান ভোটের লড়াইয়ে আসা আওয়ামী লীগের এই নেতা।

আবদুর রউফ বলেন, ‘আমি মৌখিকভাবে আজ নির্বাচন কমিশনের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগও দেব।’

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, আমলাবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।