সুবর্ণচরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে হারালেন এমপি একরামুলের ছেলে

সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়া আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আলোচিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে হারিয়েছেন আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরী। তিনি নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে।

আতাহার ইশরাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট, আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খায়রুল আনম চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট। আজ রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণকক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম ভোট গণনা শেষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

সংসদ সদস্যের ছেলে আতাহার ইশরাকের বয়স ২৬ বছর। অন্যদিকে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনমের বয়স ৭৮ বছর। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই উপজেলা পরিষদ চত্বরে আতাহার ইশরাকের সমর্থকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। দলের জেলা সভাপতির এমন পরাজয়ের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

আতাহার ইশরাক চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর বাবা সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ছেলের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ১৬ এপ্রিল ‘যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকায় উন্নয়নে হাত দিব না’ বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। একইভাবে সংসদ সদস্যের স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলীও ছেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্দেশে, ‘তোর ডিও লেটারে কাঁচা রাস্তা পাকা অইতো ন’ মর্মে বক্তব্য দিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জয় পেয়েছেন মো. আবদুল্লা আল মামুন (তালা)। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৯৪ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়সাল হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৪ ভোট। আর সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মুন্নি আহমেদ। ফুটবল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪১১ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিবি ফাতেমা কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৬৫ ভোট।