উচ্ছেদে প্রথমে বাধা, পরে ম্যাজিস্ট্রেট–পুলিশের ওপর হামলা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পাহাড়ের অবৈধ বসতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এ সময় বাধা দেন বসবাসকারীরা। আজ দুপুরে
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে ফেরার পথে প্রশাসন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অভিযানে অংশ নেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কতজন আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বেলা দেড়টায় উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্তত ১০ জন উচ্ছেদের কাজে ব্যবহৃত এক্সকাভেটরের (খননযন্ত্র) সামনে শুয়ে পড়েন। এ সময় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বসবাসকারীরা। তবে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর আবার অভিযান শুরু হয়।

খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে চলছে উচ্ছেদ অভিযান
ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযান শেষে ফেরার পথে দুই পাশের পাহাড় থেকে দুর্বৃত্তরা তাঁদের ওপর পাথর ও ঢিল নিক্ষেপ করতে থাকে। স্থানীয় সন্ত্রাসী ইয়াছিনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। এতে তিনি (ওসি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

পাহাড়ের অবৈধ বসতিতে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) সামনে বসে ও শুয়ে পড়েন কয়েকজন বাসিন্দা। দুপুরে চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায়
ছবি: জুয়েল শীল

অভিযানে অংশ নেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, অভিযান চলাকালে দুপুরে এক দফা বাধা দিয়েছিল। এরপরও তাঁরা পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করেছেন। অভিযান শেষ করে ফেরার পথে হঠাৎ তাঁদের ওপর হামলা হয়। এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।