জয়পুরহাটে মেকানিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
জয়পুরহাটে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর আরিফ হাসনাত সেলিম (২২) নামের এক মোটরসাইকেল মেকানিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচবিবি উপজেলার ভূতগাড়ী বাজারে তাঁর গ্যারেজের পাশের একটি পরিত্যক্ত দোকানঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফ হাসনাত জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভূতগাড়ী বাজারে আনিছুর রহমানের গ্যারেজে কাজ করতেন। প্রায় তিন মাস আগে গ্যারেজটি কিনে নিয়ে নিজেই ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। তিনি গ্যারেজের ওপরের তলায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাজারের একটি পরিত্যক্ত হোটেলের চুলায় স্থানীয় কয়েকজন পিকনিকের রান্না করছিলেন। সে সময় আরিফের গ্যারেজ ও পাশের বিকাশের একটি দোকান বন্ধ ছিল। রাত আটটার পর ওই দোকানমালিক আসাদুন্নবী দোকান খুলে দেখেন, তাঁর ক্যাশ বাক্সে রেখে যাওয়া ১৮ হাজার টাকা নেই। কিছুক্ষণ পর আরিফ হাসনাত তাঁকে জানান, তাঁর গ্যারেজ থেকেও ২০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় আরিফকে সন্দেহ করেন আসাদুন্নবী এবং মঙ্গলবার তাঁদের মধ্যে এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। গতকাল বুধবার সকালে আরিফ গ্যারেজ খুলতে আসেন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল দুপুরে আসাদুন্নবী তাঁর দোকানের টাকা চুরির ঘটনায় আরিফের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। আজ সকালে গ্যারেজের পাশের একটি দোকানঘরে আরিফের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরিফ হাসনাতের চাচা আবু সাঈদ বলেন, ‘দ্বন্দ্বের জের ধরে আমার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
দোকানমালিক আসাদুন্নবী বলেন, ‘টাকা চুরির ঘটনায় আরিফের কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হয়। তাই বুধবার থানায় গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আজ সকালে গ্যারেজের পাশের দোকানে আরিফের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।’
পাঁচবিবি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবির বলেন, আরিফ হাসনাতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।