কলেজের অধ্যক্ষ জামাল হত্যা মামলায় ভাইসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইলের সখীপুরে অধ্যক্ষ জামাল হোসেন ওরফে ঠান্ডু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাঁর ভাই মিনহাজুর রহমানকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কলেজের অধ্যক্ষ জামাল হোসেন ওরফে ঠান্ডু হত্যা মামলায় তাঁর ভাইসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক বেগম শাহানা হক সিদ্দিকা এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সখীপুরের ফুলবাগ গোবরচাকা গ্রামের মিনহাজুর রহমান ওরফে মিন্টু ও একই গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য আবদুল মালেক ওরফে শুকুর। মিনহাজুর রহমান অধ্যক্ষ জামাল হোসেনের আপন ভাই এবং আবদুল মালেক মামাতো বোনের স্বামী।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন—অধ্যক্ষ জামাল হোসেনের আরেক ভাই নান্নু মিয়া, মামাতো ভাই মাসুদ রানা ও দণ্ডিত আবদুল মালেকের ভাই শমশের আলী।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. মহসিন সিকদার বলেন, সখীপুরের পলাশতলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. জামাল হোসেন ওরফে ঠান্ডু ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর কলেজ থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বৈল্লারপুর এলাকায় পৌঁছালে দণ্ডিত ব্যক্তিরা পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই দিনই জামাল হোসেনের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব আলী তদন্ত শেষে পাঁচজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

রায় ঘোষণার সময় মিনহাজুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দণ্ডিত আবদুল মালেক পলাতক।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী পারভীন বেগম বলেন, তিনি রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হলেও তিনজন খালাস পেয়েছেন। তাঁদের শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে তিনি আপিল করবেন বলে জানান।