ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালের স্টোররুমে আগুন, রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক

আগুন নেভার পর স্টোররুমে অক্ষত জিনিস খুঁজছেন কর্মীরা। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোররুমে আগুন লেগে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালটির নতুন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।

এদিকে হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দ্রুত হাসপাতাল ভবন থেকে নিচে নেমে আসেন।
শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লায় হাসপাতালটির অবস্থান। আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের  দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে অবস্থিত স্টোররুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় ৩ হাজার ৬০০ বর্গফুটের কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। এ নিয়ে গত দেড় মাসে এ হাসপাতালে তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে পুরোপুরি আগুন নেভাতে আরও কিছুটা সময় লাগে। ওই কক্ষের দরজার চারটি তালা ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে হয়েছিল।

হাসপাতালের উপপরিচালক দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, হঠাৎ করে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোররুমে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ায় অন্ধকারের সৃষ্টি হয়। স্টোররুমটিতে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, রেফ্রিজারেটরসহ নানা সরঞ্জাম রয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।

আগুন লাগার খবর পেয়ে আতঙ্কে নিচে নেমে আসেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা
ছবি: প্রথম আলো

আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। হাসপাতালে বারবার আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘গত দেড় মাসে এ হাসপাতালে তিনবার আগুন লাগল। আমরা আতঙ্কিত ও আশঙ্কিত। হাসপাতালের স্থাপনাগত কিছু ত্রুটি রয়েছে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’