ফজিলাতুন্নেছা বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র জমা দিতে ছাত্রলীগের বাধা

জামালপুর জেলার মানচিত্র

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উন্নয়নকাজের দরপত্র জমা দিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ঠিকাদার। এ ঘটনায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহম্মেদের নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা দরপত্র জমা দিতে আসা ঠিকাদারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁদের বাধার মুখে ঠিকাদারেরা দরপত্র জমা দিতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সে দরপত্র তাঁরা জমা দিতে প্রশাসনিক ভবনে যান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ছাত্র কাউছার আহম্মেদের নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জন ছাত্র দরপত্র দাখিলে বাধা দেন।

একজন ঠিকাদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের জন্য ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। আজ দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। সকল নিয়ম মেনে আমরা চারজন (ঠিকাদার) ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র জমা দিতে যাই। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা দরপত্র জমা দিতে দেননি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেছেন। সামনে নির্বাচন, সেই কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিবাদে জড়াইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ বলেন, দরপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। ছাত্রলীগের কেউ তো কোনো দরপত্র কেনেনি। তাহলে তাঁরা কেন বাধা দিতে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি সমস্যা নিয়ে তাঁরা কয়েকজন নেতা-কর্মী রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়েছিলেন। সেই সময় ঠিকাদারেরাও গিয়েছিলেন। তখন তাঁরা ঠিকাদারদের ১০ মিনিট পরে আসতে বলেছেন। বিষয় এইটুকুই।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন বলেন, তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।