ফরিদপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে কৃষক দলের নেতাকে পেটালেন আরেক নেতা
ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের এক নেতা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় আরেক নেতা পিটিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কৃষক দলের আহত ওই নেতাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ফরিদ শেখ (৩৭) ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ফরিদপুর সদরের বৈঠাখালী মহল্লার মো. মান্নান শেখের ছেলে।
ফরিদ শেখের স্ত্রী জুঁই বেগম বলেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁরা গতকাল বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে যাচ্ছিলেন। পথে ধুলদি বাজার এলাকায় পৌঁছালে ফিরোজ শেখসহ কয়েকজন ফরিদকে ডেকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা গণেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আহত ফরিদ শেখকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি শঙ্কামুক্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ শেখ ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সহক্রীড়া সম্পাদক। তিনি মাচ্চর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার শেখের ছেলে। গত শনিবার ফরিদ শেখ তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে মহানগর কৃষক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানাতে চেয়েছিলেন, ‘ফিরোজ শেখকে এলাকায় বা ফরিদপুরে কোনো আন্দোলনে দেখা যায়নি। তাহলে ফিরোজ শেখ কীভাবে মহানগর কৃষক দলের সম্পাদক হলেন?’
এ বিষয়ে ফিরোজ শেখের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ বলেন, ‘স্থানীয় বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ফরিদপুর মহানগর কমিটি অন্তত দুই বছর আগে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত সময় থেকেই ফিরোজ এই কমিটির সহক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদ গত দুই বছর কোনো অভিযোগ করেননি। দুই দিন আগে ফিরোজকে নিয়ে ফরিদের পোস্ট আমি দেখেছি। ফিরোজের বাবা আওয়ামী লীগের নেতা কি না, তা আমার জানা নেই। তবে বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হলে ছেলে বিএনপি, জামায়াত করতে পারবে না, তা নয়।’ তিনি আরও বলেন, ফিরোজ একজন নিবেদিত নেতা। আন্দোলন–সংগ্রামে তিনি সব সময় পাশে ছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি, ধুলদি এলাকায় মারামারি হয়েছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’