মা–বাবাকে নিয়ে নববর্ষ উদ্‌যাপনের পর শয়নঘরে মিলল কলেজছাত্রের লাশ

ঝুলন্ত লাশপ্রতীকী ছবি

নিজের কলেজ চত্বরে মা–বাবাকে নিয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্‌যাপনের পরপরই বাড়ির শয়নঘরে নাইম ইসলাম (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর ‘ঝুলন্ত’ লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

লাশ উদ্ধার হওয়া নাইম ইসলাম উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মোমিন আলীর ছেলে এবং নাটোর নবাব সিরাজ–উদ্‌–দৌলা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাইম তাঁর মা–বাবাকে নিয়ে বুধবার সকালে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্‌যাপনের জন্য নিজের কলেজ চত্বরে যান। কলেজে বেড়ানোর পর মা চলে যান নানার বাড়িতে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বাবা তাঁকে বাড়িতে রেখে ভাড়ার জন্য বাইরে চলে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি গৃহপালিত পশুপাখির খাবারের ব্যবস্থা করেন। রাত ৯টার দিকে চাচা-চাচিরা নাইমকে খাবারের জন্য ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়াশব্দ পান না। তাঁর শয়ন ঘরের ভেতর থেকে আটকানো ছিল। পরে দরজা ভেঙে তাঁরা নাইমকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাবা মোমিন আলী বলেন, ছেলেকে নিয়ে তাঁরা বুধবার দুপুর পর্যন্ত নাটোরে তাঁর কলেজে ঘুরেছেন। আনন্দ-উল্লাস করেছেন। কখনোই তাঁর মধ্যে কোনো হতাশা লক্ষ করেননি। বাড়িতে ফিরে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে হবে, কখনো ভাবতে পারেননি।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি ‘আত্মহত্যা’ বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বাগাতিপাড়া হাসপাতাল থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।