নবাবগঞ্জে পিঁড়ির আঘাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী গ্রেপ্তার

মরদেহপ্রতীকী ছবি

ঢাকার নবাবগঞ্জে বসার পিঁড়ির আঘাতে আবদুস সালাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়। গতকাল রাতে মামলার পর তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে শাশুড়িকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে গতকাল বিকেলে উপজেলার গালিমপুর মিয়াহাটি গ্রামে সালামের শ্বশুরবাড়িতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। তাঁর স্ত্রীর নাম সানজিদা আক্তার (৩২)। সালাম দোহারের কাটাখালী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তবে মিয়াহাটি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন এবং অটোরিকশার চালক ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন তাঁর বোনজামাই নৈমদ্দিন মৃধা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ছেলেকে স্কুলে নেওয়ার বিষয় নিয়ে সানজিদার সঙ্গে সালামের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। পরে সালামের মাথায় কাঠের পিঁড়ি দিয়ে আঘাত করেন সানজিদা। সালাম তাৎক্ষণিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে সালামের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সানজিদা ও তাঁর মাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

গালিমপুর তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল হাসান বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় সালামের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সালামের স্বজনেরা বলেন, সালাম বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। করোনার সময়ে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আর যেতে পারেননি। এর পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থেকে অটোরিকশা চালাতেন। তাঁর বোনজামাই ও মামলার বাদী নৈমদ্দিন মৃধা অভিযোগ করেন, সালামের টাকাপয়সা ও সম্পত্তি দখলে নিতে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান তিনি।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির বোনজামাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় সালামের স্ত্রী সানজিদাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।