সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের মুঠোফোন ভাঙ্চুর, প্রাণনাশের হুমকি

সাংবাদিকের হাত থেকে মুঠোফোন কেড়ে নিচ্ছেন ঠিকাদার
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা, প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর মুঠোফোন ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক এ ঘটনায় গতকাল লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ভুক্তভোগী আবদুল আউয়াল ওরফে জনি দৈনিক আজাদী অনলাইনের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি। অভিযুক্ত ঠিকাদারের নাম মনজুর আলম।

জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আঁধারমানিক সড়কে হাঙর খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজে অনিয়ম ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার মনজুর আলমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে আবদুল আউয়ালের ওপর হামলা করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন মনজুর আলম।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, মনজুর আলম মুঠোফোনটি নিয়ে সজোরে মাটিতে ফেলে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আবদুল আউয়াল বলেন, ‘বালু কিনে সেতুর কাজে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার মনজুর আলম অবৈধভাবে হাঙর খাল থেকে বালু তুলে সেতুর নির্মাণকাজে সরবরাহ করছিলেন। ঘটনাস্থল গিয়ে বালু তোলার সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ঠিকাদার মনজুর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে সংবাদের ভিডিও সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে তিনি আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।’

এ বিষয়ে গতকাল ঠিকাদার মনজুর আলম বলেন, তিনি কারও ওপর হামলা বা প্রাণনাশের হুমকি দেননি। তাঁর হাতের ধাক্কা লেগে ওই সাংবাদিকের মুঠোফোন মাটিতে পড়ে গেছে।

লোহাগাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মুঠোফোন ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।