নারায়ণগঞ্জে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, রাতের অভিযানে গ্রেপ্তার ৬

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরে অবরোধ সমর্থনে আজ সোমবার সকালে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন যুবদল নেতা-কর্মীরা
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের শেষ দিনে নারায়ণগঞ্জে পৃথক তিনটি স্থানে বিক্ষোভ করেছেন অবরোধ সমর্থকেরা। আজ সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে ও গোদনাইল এলাকায় এবং বন্দর উপজেলার মদনপুরে সড়কে টায়ার, কাঠের চৌকিতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা।

এদিকে গতকাল রোববার রাত থেকে জেলার সাত থানায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় নারায়ণগঞ্জের আদমজী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম ও সদস্যসচিব শাহেদ আহমেদের অনুসারী যুবদলের নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা সড়কে কাঠের চৌকিতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেন। এ সময় তাঁরা অবরোধ সমর্থনে স্লোগান দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তাঁরা সেখান থেকে সরে যান।

আরও পড়ুন

একই থানার গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল সাতটার দিকে যুবদল নেতা-কর্মীরা সড়কে পেট্রল ঢেলে আগুন দেন। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বিক্ষোভ করেন। এদিকে সকালে সাড়ে ছয়টায় বন্দর উপজেলার মদনপুরে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কে যুবদলের নেতা-কর্মীরা সড়কে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেন। পুলিশ আসার আগেই সেখান থেকে সরে যান।

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আজ সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বেড়েছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির টহল দিতে দেখা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে সড়কের দুই-তিনটি জায়গায় আগুন দেওয়ার চেষ্টার খবর শুনেছেন। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই তাঁরা পালিয়ে গেছেন। এ ছাড়া রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।