স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কোন্দল, এল নতুন মুখ

মেহেরপুর-২ আসনে (গাংনী) নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন এ এস এম নাজমুল হক
ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুর-২ আসন (গাংনী) থেকে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এ এস এম নাজমুল হক (সাগর)। এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। গতকাল রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের প্রার্থী হিসেবে নাজমুল হকের নাম ঘোষণা করেন।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল হকের ছেলে নাজমুল হক পেশায় চিকিৎসক। নুরুল হক ১৯৬৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৬ সালেও আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হন তিনি। নুরুল হকের ছেলে নাজমুল হক ১৯৯৬ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়াকালে ছাত্রলীগের সভাপতি হন। পরবর্তী সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। মেহেরপুর-২ আসনটি গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

গতকাল মনোনয়ন ঘোষণার পর গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন প্রবীণ নেতার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেন, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নতুন মুখ নাজমুল হককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের দ্বন্দ্ব সবার জানা। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সঙ্গেও বর্তমান সংসদ সদস্যের দ্বন্দ্ব আছে। তাঁরা বিভিন্ন সভায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন।

মনোনয়ন পাওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করে দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করবেন বলে জানান এ এস এম নাজমুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার বাবার আদর্শ ধারণ করে এলাকার মানুষের উন্নয়ন করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’