হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক দেইনি। জেলা প্রশাসনকে বিকল্প জায়গায় (হাসপাতালের সামনে) অ্যাম্বুলেন্স রাখার স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিই। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেছি জেলা প্রশাসনের কাছে। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।’

৯ দফা দাবির মধ্যে আছে—হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্স রাখার অনুমোদন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকারকে প্রত্যাহার, পুলিশ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হয়রানি বন্ধ করা, হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করা।

আজ সকালে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস চলাচল বন্ধ। বেশ কয়েকজন যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে বিপাকে পড়েছেন।

ঢাকা যেতে বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন মোহাম্মদ আলী (৫০) নামের একজন যাত্রী। তিনি বলেন, সকাল আটটায় এসে জানতে পারেন ধর্মঘটের কথা। এখন ঢাকায় যাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু কীভাবে যাবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না।

ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী বিনা পালের (৬৫) কেমো দেওয়ার জন্য আজ সিলেটে হাসপাতালে যাওয়ার কথা। ধর্মঘট ডাকায় তিনি স্বামীকে নিয়ে সিলেট যেতে পাচ্ছেন না।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, শ্রমিকদের কেন এ ধর্মঘট, তা প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে তাঁরা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।