যশোরে জোড়া খুনের মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

যশোরের চৌগাছা উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামে জোড়া খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত এই চারজন একই পরিবারের সদস্য। আজ বুধবার বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন টেঙ্গুরপুর গ্রামের আবজেল খানের ছেলে বিপ্লব খান ওরফে বিপুল ও মুকুল খান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তাঁদের অপর ভাই বিল্লাল খান ও বিল্লালের স্ত্রী রুপালী বেগম। রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আসাদুজ্জামান বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে দণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

মুকুল ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে ইউনুস, আইয়ুব ও আসাদুজ্জামানকে দা ও বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের পাশে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ইউনুস খান। কাজের লোক ঠিক করা নিয়ে প্রথমে ইউনুস খানের সঙ্গে দোকানি মুকুলের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় ইউনুসকে মারধর করেন তিন ভাই মুকুল, বিল্লাল, বিপুল ও বিপুলের স্ত্রী রুপালি বেগম। পরে ইউনুসের ভাই আইয়ুব খান ও ভাতিজা আসাদুজ্জামান খান মুকুলের দোকানে যান এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। এ সময় মুকুল ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে ইউনুস, আইয়ুব ও আসাদুজ্জামানকে দা ও বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এতে তিনজনই গুরুতর জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইউনুছ ও আইয়ুবকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আসাদুজ্জামানকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আজ রায় শুনে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল খানের স্ত্রী জলি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা এ রায় মানি না। আমরা ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাব।’