তৃতীয়বারের মতো ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ নিয়ে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পাশে বাকৃবি
আগামী ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় তৃতীয়বারের মতো ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ সিস্টেম চালু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. শহীদুল হক, প্রক্টর মো. আবদুল আলীম, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, আইসিটি সেলের পরিচালক মো. রোস্তম আলী এবং ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ উদ্ভাবন দলের সদস্যরা।
উদ্ভাবন দলের সদস্যরা জানান, এটি একটি ওয়েবভিত্তিক সিস্টেম। গুগল ক্রোমে ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ লিখে সার্চ করলেই সিস্টেমটি পাওয়া যাবে। সেখানে রোল নম্বর প্রবেশ করালে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হলের প্রধান ফটকের ছবি দেখা যাবে। একই সঙ্গে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে কম সময়ে কীভাবে পরীক্ষার হলে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনাও মিলবে। ২০২৩ সালে সিস্টেমটি প্রথম চালু করা হয়। তবে এটি শুধু পরীক্ষার সময় চালু থাকে।
সিস্টেমটির ডেভেলপার দলে ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের বায়োইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক হাওলাদার (চতুর্থ বর্ষ), ইশমামুল হক (তৃতীয় বর্ষ) ও আসিফ জামান (দ্বিতীয় বর্ষ)। মডিফিকেশন দলে ছিলেন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম মেহেদী হাসান, নাসরান ফারদিন, লামিয়া ইসলাম ও ফাতেমা ইসলাম।
উদ্ভাবন দলের সদস্য এবং কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইশমামুল হক বলেন, ‘বাকৃবি ক্যাম্পাস অনেক বড়, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটগুলো ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় আছে। এই ক্যাম্পাস পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য একেবারেই নতুন। ভর্তি–ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা থেকেই এক্সাম হল ফাইন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করি। পরীক্ষার হল খোঁজা নিয়ে যেন পরীক্ষার্থীদের কোনো দুশ্চিন্তা না থাকে, এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
এ বছর এক্সাম হল ফাইন্ডার সিস্টেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের সহযোগিতায় নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান আইসিটি সেলের পরিচালক মো. রোস্তম আলী। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থীই প্রবেশপত্র বা প্রয়োজনীয় নথি আনতে ভুলে যান। তাঁরা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো প্রিন্ট করে নিতে পারেন, সে বিষয়ে এবং অন্যান্য কারিগরি সহায়তা আইসিটি সেল থেকে দেওয়া হবে। সিস্টেমটির মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরীক্ষার্থীরা এই সুবিধা নিতে পারবেন।
মো. রোস্তম আলী আরও বলেন, এখন থেকে সিস্টেমটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গণ্য হবে। শুধু কৃষি গুচ্ছ নয়, এই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত যেকোনো পরীক্ষায় এটি কার্যকর থাকবে। ভবিষ্যতে কৃষি গুচ্ছের জন্য বাকৃবি ক্যাম্পাসের পাশাপাশি অন্যান্য কেন্দ্রেও এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. শহীদুল হক বলেন, ‘কিছুদিন আগেই বাকৃবি কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হল খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়েন। পরীক্ষার মাত্র ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষার হল খোঁজার ঘটনাও ঘটেছে। আমরা চাই, কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষায় যাতে কেউ এমন পরিস্থিতিতে না পড়েন।’