গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে

সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে মহেশখালীর ধলঘাট ইউনিয়নের নাসির মোহাম্মদ ডেইল এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র। ছবিটি আজ সকালে তোলাপ্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়া বইছে। আজ রোববার সকাল নয়টার পর সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। সকাল থেকে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহও।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১১ নম্বর ইউনিট সোনাদিয়া দ্বীপের দলনেতা (টিম লিডার) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আজ সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ নয়টার দিকে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসেরও গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে অনেক স্থানে গাছের ডালপালাও ভেঙে পড়ছে।

আরও পড়ুন

মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার রাতে ৬ নম্বর সংকেত দেওয়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। কিন্তু তাঁরা রাতে সরে যাননি। কিন্তু আজ সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন তাঁদের নিরাপদ স্থানে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলা করার জন্য এখানে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির দুটি টিমের ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বলেন, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে উপকূলীয় দ্বীপ ধলঘাট ইউনিয়নে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ছয় হাজার মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সংকেত পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মধ্যে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এরপর সকাল নয়টার দিকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ায় কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ধলঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন

চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বলেন, ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বাকি ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠার জন্য বলা হলেও তাঁরা উঠছেন না। তবে তাঁরা এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে তিনি জানান।

জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার জন্য একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ৯৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে পৌর এলাকার চরপাড়ার নিচু এলাকা থেকে অন্তত এক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন