বাগমারায় নৌকার ৪টি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়। আজ সোমবার সকালে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কসবা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের চারটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হকের নির্দেশে ক্যাম্পগুলোতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনামুল হক।

দলীয় কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে প্রচারণা চালানোর পর নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা বাড়িতে চলে যান। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পগুলোতে আগুন দিয়ে আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়। আজ সোমবার সকালে এসে তাঁরা ক্যাম্পগুলো ভেঙে ফেলা ও পুড়িয়ে দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কসবায় একটি, রামকৃষ্ণপুরে একটি এবং গনিপুর ইউনিয়ন এলাকার দুটি ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের নির্দেশে তাঁর লোকজন আমার নৌকার অফিস ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিচ্ছেন। এ ছাড়া গতকাল মাদারীগঞ্জে সংসদ সদস্য এনামুল হক সরাসরি আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধর ধর বলে হামলা করেছেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর নিজের ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। করলে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী-৪ আসনে এবার ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির আবু তালেব প্রামাণিক, বিএনএমের সাইফুল ইসলাম, এনপিপির জিন্নাতুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক ও বাবুল হোসেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি কাঁচি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ আসনে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে হামলা, ভাঙচুর, মারপিট ও অগ্নিসংযোগের ১৩টি ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বাগমারা আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণে প্রশাসন তৎপর আছে। অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় পাঠানো হচ্ছে।