খুলনা-৬: মিছিল করে মহড়া দেওয়ায় বিএনএম প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল ও মহড়া দেওয়ায় খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী নেওয়াজ মোরশেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও কয়রা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এই নোটিশ দেন।
নোটিশে নেওয়াজ মোরশেদকে কাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে সশরীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেল ও সহস্রাধিক লোকজন নিয়ে কয়রা বাজারে মিছিলসহকারে শোডাউন (মহড়া) করেছেন বিএনএমের মনোনীত প্রার্থী নেওয়াজ মোরশেদ। এতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, যা বিভিন্ন মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে। প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ বিধি ৮ (ক) ও ১২ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।
এ বিষয়ে বিএনএমের মনোনীত প্রার্থী নেওয়াজ মোরশেদের প্রতিনিধি কয়রা উপজেলা বিএমএমের সভাপতি সিরাজুদ্দৌলা লিংকন প্রথম আলোকে বলেন, নেওয়াজ মোরশেদের কয়রায় আসার খবরে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা উপজেলা সদরে সমবেত হন। তাঁরা নেওয়াজ মোরশেদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তাঁরা দলীয় নেতারা ওই দিন একত্রে বসেছিলেন ওখানে। অন্য কাউকে আহ্বানও করা হয়নি। তবে যেটা হয়েছে, তার জন্য তাঁরা দুঃখিত। আগামী যে অবশিষ্ট দিনগুলো আছে, তাঁরা আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন না।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে বিএনএমের প্রার্থী হওয়ার পর গত শনিবার বিকেলে প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় যান নেওয়াজ মোরশেদ। দলের নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই দিন দেড় শতাধিক মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে কয়রা সদরের মুমিন মার্কেট-সংলগ্ন মাঠে আসেন নেওয়াজ মোরশেদ। সেখানে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে নিজের জন্য ভোট চান। এ জন্য মুমিন মার্কেট-সংলগ্ন মাঠে একটি মঞ্চও তৈরি করা হয়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন বলেন, আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। খুলনা-৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে একজন বিচারককে প্রধান করে ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন।