ভোলায় মালবোঝাই ট্রলারডুবি, বাবা-ছেলে নিখোঁজ

নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী,পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড। সোমবার ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা নদীতে
ছবি: প্রথম আলো

ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা নদীতে গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মালবোঝাই একটি ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারে সাতজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেলেও দুজন এখনো নিখোঁজ। তাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খালের উত্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটি মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে যাচ্ছিল। আজ সোমবার সকালে ভোলা সদর মডেল থানার আওতাধীন ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা (আইসি) উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য জানান।

নিখোঁজ দুজন হলেন আবদুর রাজ্জাক সরদার (৬০) ও তাঁর ছেলে মো. পারভেজ সরদার (২৩)। তাঁদের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহির হোসেন মিঞা বলেন, গতকাল মেহেন্দীগঞ্জের ফারুক মাঝির ট্রলারটি মনপুরা থেকে ভাঙারি-পুরোনো মালামাল বোঝাই করে নদীপথে উলানিয়া যাচ্ছিল। ট্রলারটি রাত একটার দিকে মেঘনা থেকে ইলিশা নদীতে আসে। জোড়খাল এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় পাঁচজনকে পাশে থাকা একটি ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন এখনো নিখোঁজ। পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

জীবিত উদ্ধার হওয়া মো. ফারুক মাঝি বলেন, ‘আমরা মনপুরা থেকে আসার পথে হঠাৎ ইলিশা নদীতে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ট্রলারে পানি উঠতে থাকে। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে আমরা সাতজন ছিলাম। পাঁচজন স্থানীয় মানুষের সহায়তায় ডাঙায় উঠতে পারলেও আমার ভাই আবদুর রাজ্জাক ও ভাতিজা পারভেজ উঠতে পারেনি। ট্রলারে প্রায় চার লাখ টাকার ভাঙারি-পুরোনো মালামাল ছিল।’

ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার জানান, ঘটনার পরপরই নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। একদিকে রাত, অন্যদিকে তীব্র শীত, এ কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান শুরু করা সম্ভব হয়নি। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে।