পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব, আল আমিন ও কাউছার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আটক তিনজন জানিয়েছেন, তাঁরা একই মহাজনের অটোরিকশা চালাতেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যার দিকে ওই তিন তরুণ তাঁদের অটোরিকশা মহাজনের গ্যারেজে বুঝিয়ে দেন। পরে রাত ১১টার দিকে তাঁরা একই মহাজনের চালক ইউসুফের অটোরিকশা ভাড়া করে চর কাশিপুর এলাকায় যান। সেখানে একটি ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে তাঁরা কৌশলে ইউসুফকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে তাঁর গলায় রড ঢুকিয়ে দেন। এতে ইউসুফের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাঁরা লাশ ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে তাঁরা কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন এলাকায় কাউছারের বাড়িতে অটোরিকশার ব্যাটারিগুলো লুকিয়ে রাখেন।

দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাহবুব, আল আমিন ও কাউছার কাশিপুর এলাকা দিয়ে অটোরিকশাটি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি দেখে টহল পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের সন্দেহ হয়। তখন পুলিশ ওই তিনজনকে থামিয়ে পরিচয় ও গাড়ির সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা অসংলগ্ন উত্তর দেন। তাঁদের কথাবার্তা সন্দেজনক দেখে পুলিশ তাঁদের আটক করে মহাজনকে ডাকতে বলেন।

খবর পেয়ে মহাজন সুমন মিয়া ঘটনাস্থলে এসে জানান, আটক তিনজন তাঁর গ্যারেজের অটোরিকশাচালক। তবে তাঁরা ওই অটোরিকশার চালক নন। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

নিহত ইউসুফের ছোট মেয়ে ইয়াসমিন বলেন, তাঁর বাবা গতকাল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্যারেজে গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ ভোরে জানতে পারেন, তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, আটক তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চর কাশিপুর এলাকা থেকে চালকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক তিনজনই অটোরিকশার চালক। তাঁরা সবাই মাদকাসক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।