মাহিয়া মাহির আয় ৮ লাখ টাকা, আছে অর্ধকোটি টাকার গাড়ি

মাহিয়া মাহিছবি: প্রথম আলো

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির জমি, বাসাবাড়িসহ স্থাবর কোনো সম্পত্তি নেই। তাঁর বাৎসরিক আয়ের চেয়ে ব্যাংকঋণের পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তাঁর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামায় তিনি প্রার্থীর নাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন শারমিন আক্তা নিপা মাহিয়া। তাঁর স্বামীর নাম মো. রকিব সরকার। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন বিবিএ (মার্কেটিং)। আগে দুটি মামলা থাকলেও বর্তমানে তাঁর নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই।

হলফনামায় মাহিয়া মাহি তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। নিজের পেশার জায়গায় লিখেছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও ব্যবসা। ব্যবসা থেকে তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। পেশা থেকে দেখিয়েছেন চার লাখ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তাঁর বার্ষিক আয় সোয়া আট লাখ টাকা।

হলফনামায় মাহিয়া মাহি স্থাবর কোনো সম্পদ দেখাননি। অর্থাৎ হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর কোনো জায়গাজমি, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নেই। তবে অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। তাঁর নগদ টাকা আছে দেড় লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৮ টাকা। স্বামীর নগদ অর্থ ৩ লাখ টাকা আর ব্যাংকে জমা আছে ২৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা।

হলফনামায় অস্থাবর সম্পদে ৫৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার এসইউভি গাড়ি ব্যবহারের তথ্য জানিয়েছেন মাহিয়া মাহি। তাঁর স্বামী চালান ৮৩ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা হ্যারিয়ার কার। মাহির রয়েছে ৩০ তোলা সোনা, যার দাম ১৫ লাখ টাকা। আর স্বামীর ৫০ তোলা সোনা, যার দাম ২৫ লাখ টাকা। তিনি নির্ভরশীলদের কোনো আয় দেখাননি।
মাহিয়া মাহির বার্ষিক আয় আট লাখ টাকার বেশি থাকলেও তিনি নিজে ঋণগ্রস্ত। তিনি ব্যাংকঋণ দেখিয়েছেন ১৮ লাখ ২০ হাজার ৫২০ টাকা।

নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু সেই আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পাননি। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।