সুন্দরবনে বাঘশুমারির আটটি ট্র্যাকিং ক্যামেরা চুরি

সুন্দরবনে আপন আস্তানায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার
ফাইল ছবি

সুন্দরবনে বাঘশুমারির (গণনা) কাজে ব্যবহৃত আটটি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। ক্যামেরাগুলো কবে, কারা চুরি করেছে, তা জানা যায়নি। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য নোটাবেঁকি ও দোবেঁকি এলাকা থেকে ক্যামেরাগুলো চুরি যায়।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, বাঘ গণনার কাজে ব্যবহৃত সুন্দরবনের অভয়ারণ্য নোটাবেঁকি ও দোবেঁকি এলাকা থেকে আটটি ট্র্যাকিং ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

তবে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর সাড়া মেলেনি।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার। এলাকাটি সাতক্ষীরা, খুলনা, চাঁদপাই ও শরণখোলা—চারটি রেঞ্জে বিভক্ত। বনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা জানতে গত ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় শুমারির কাজ শুরু করে বন বিভাগ। বন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং টাইগার রেসপন্স টিমের ১২ সদস্য এ কাজ শুরু করেন। ২১ সদস্যের দলটি সাতক্ষীরা রেঞ্জ এবং খুলনা রেঞ্জের আংশিক এলাকায় প্রথম পর্যায়ে বাঘ গণনা করছে।

বাঘশুমারিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা জানান, শুমারির জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার গাছে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২৭৬টি ও খুলনা রেঞ্জে ৫৪টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য নোটাবেঁকি ও দোবেঁকি এলাকা থেকে আটটি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।

এদিকে বাঘশুমারির কারণে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের দুটি স্টেশন থেকে জেলেদের বনে প্রবেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কর্মকর্তা নূরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী ও কদমতলা স্টেশন থেকে জেলেদের সুন্দরবনে ঢোকার সব ধরনের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘ গণনার ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের জন্য জেলেদের বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

তবে সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন চৌধুরী জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চার স্টেশনের মধ্যে দুটি স্টেশন দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও কোবাদক ও বুড়িগোয়ালিনী দিয়ে বনে ঢুকতে ও মাছ ধরতে জেলেদের কোনো বাধা নেই।