দোহারে চাঁদাবাজির মামলায় যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার, ভুয়া মামলার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন
ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাটে বালুমহাল ও পরিবহন খাত থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দোহার থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন দোহারের একটি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যুবদল কর্মী রিপন খলিফা। আজ সোমবার দুপুরে তাঁর মুক্তির দাবিতে উপজেলার জয়পাড়া কালেমা চত্বরে মানববন্ধন করেন বিলাশপুর ইউনিয়নের যুবদলের নেতা-কর্মীরা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দোহার থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৬ জুলাই মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রিপন খলিফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, বাস্তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। তাঁরা দাবি করেন, এ মামলা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন দোহার উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, বিলাশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম মোল্লা, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাউল কাশেম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক ছাত্রদল নেতা টগর, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, পৌর যুবদল নেতা নাজমুল আরমান, বিএনপি নেতা দেলোয়ার খন্দকার, সামসুল আলম মোল্লা, শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার আখি প্রমুখ।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, রামনাথপুর এলাকার আদিল হাওলাদার ও আরিফ হাওলাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কেন বাদী—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাটি প্রভাবিত করার আশঙ্কা ছিল। তাই পুলিশ বাদী হয়েছে।