পচে আছে শতাধিক গাছ, কাটার অনুমতি মিলছে না 

গাছগুলো তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যন্তরে তুলা গবেষণা মাঠ ও মাঠের আশপাশে। এসব গাছ অন্তত ১০ বছর ধরে মরে আছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের তুলা উন্নয়ন বোর্ডের শতাধিক গাছ মরে পচে নষ্ট হচ্ছে। আট বছর ধরে গাছগুলো কাটার অনুমতি ঝুলে আছে
ছবি: প্রথম আলো

মরে যাওয়া ১০৪টি বড় আকারের মূল্যবান গাছ কাটার জন্য আবেদন করা হয় ২০১৬ সালে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি মেলেনি। ফলে সব কটি গাছেই পচন ধরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে। এই চিত্র গাজীপুরের শ্রীপুরের তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যন্তরে তুলা গবেষণা মাঠ ও মাঠের আশপাশের। পচন ধরা গাছগুলোর মধ্যে আছে কাঁঠাল ও আমগাছ।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাঠের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া নতুন বাজার-শ্রীপুর সড়কের পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে মাদখলা পর্যন্ত বেশ কিছু বিশাল আকারের কাঁঠালগাছ কঙ্কালসার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বড় বড় ডালপালা পচে, ঘুণে ধরে সেগুলো অনেক আগেই ঝরে গেছে। গাছের কাণ্ডে ছাল-বাকল বলে কিছুই নেই। ডালপালার পর কাণ্ডেও পচন ধরে গেছে। এ ছাড়া তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা মাঠের প্রত্যেক গলিতে পচন ধরা কাঁঠাল ও আমগাছ দাঁড়িয়ে আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি জায়গায় গাছ বিক্রি করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতির দরকার হয়। এর আগে সংশ্লিষ্ট বন দপ্তর থেকে বিক্রির উপযোগী গাছগুলোর প্রচলিত বাজারমূল্য নির্ধারণ করা। ২০১৬ সালে বন বিভাগ ১০৪টি গাছের মূল্য নির্ধারণ করেছিল আড়াই লাখ টাকা।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দুই কর্মীকে গাছগুলোর দুর্দশা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাননি। তাঁদের একজন পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি গাছ, হাত দিলেই সর্বনাশ। পচে গেলেও সমস্যা নাই, কিন্তু কাজে লাগালে চৌদ্দগুষ্টির সোজা জেল। এসব গাছ অন্তত ১০ বছর ধরে মরে আছে। ২০১৩ সালেই প্রায় ৭০টি গাছ মারা যায়। কিন্তু কোনো গাছ কাটা হয় না।

গাছ কাটার অনুমতির দীর্ঘ অপেক্ষা সম্পর্কে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুল করিমের সঙ্গে। তিনি  বলেন, এত দিন আগে আবেদন করার পর তারা যোগাযোগ করেনি। বিষয়টি পুনরায় সমন্বয় সভাগুলোতে উত্থাপন করলে এত দেরি হতো না।