নেত্রকোনায় ১০ টাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ

জলসিঁড়ি পাঠাগারের উদ্যোগে নেত্রকোনা কালেক্টরেট স্কুলের ৫০ জন শিক্ষার্থীকে একটি করে বই দেওয়া হয়। গতকাল রোববার দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ টাকায় নানা ধরনের বই বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলার গাভিনা গ্রামের জলসিঁড়ি পাঠাগারের উদ্যোগে আজ রোববার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় নেত্রকোনা কালেক্টরেট স্কুলের ৫০ জন শিক্ষার্থীকে একটি করে বই দেওয়া হয়।

এসব বইয়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রোড টু সাকসেস, থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ, লুৎফর রহমানের ‘উন্নত জীবন’, ব্রায়ান ট্রেসির টাইম ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন বই আছে।

বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব উল আহসান, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, নেত্রকোনা কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সরকার, জলসিঁড়ি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা দীপক সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জলসিঁড়ি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কলেজশিক্ষক দীপক সরকার বলেন, ‘ভর্তুকি দিয়ে ১০ টাকায় প্রতিটি বই দেওয়া হয়েছে। শিশু-যুবারা সহজ মূল্যে বইটি কিনুক। তারা সম্মানবোধ করুক, এই ভেবে যে দানে নয়, বইটি তারা কিনেছে, তবু বই কেনার অভ্যাস বাড়ুক।’ তিনি আরও বলেন, এক মাস পর শিক্ষার্থীরা পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখে জমা দেবে, তারপর পাঠপ্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করে পুরস্কার দেওয়া হবে। ১০ টাকায় বই বিনিময় কর্মসূচি আরও বাড়াতে দেশের বিত্তবানদের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ টাকায় নানা ধরনের বই বিতরণ করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

জলসিঁড়ি পাঠাগার সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুরের গাভিনা গ্রামের দীপক সরকারের প্রচেষ্টায় ২০০২ সাল থেকে এলাকার কয়েকজন তরুণ মিলে জলসিঁড়ি অধ্যয়ন সভা নামে একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা হয়। এরপর ২০১২ সালে জলসিঁড়ি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারে বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার বই আছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী মিলে প্রতিদিন শতাধিক পাঠকের সমাগম ঘটে পাঠাগারটিতে। পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর দেশের বরেণ্য লেখক, সাংবাদিক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা ও চিকিৎসককে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।