ছেলের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে পাঠালেন সাবেক চেয়ারম্যান

হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বর। শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে
ছবি: সংগৃহীত

ছেলের শখ পূরণ করতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছেলেকে বিয়ে করতে পাঠিয়েছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম। তাঁর ছেলে সাবিত ইসলাম ওরফে অ্যালিস আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান। হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে এলাকার মাঠে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

চান্দাইকোনা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারটি উড়াল দেয়। কনের বাড়ি জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামে। হেলিকপ্টারে ছেলের বিয়ের আয়োজন করতে পেরে খুশি বাবা শেখ শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ বাড়িতে আনার উদ্যোগ নেন। উল্লাপাড়া উপজেলার চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল মালেকের মেয়ে নুসরাত জাহান ওরফে মিতার সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল আজ। তাঁকে ঘরে তুলে আনতে বগুড়া থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ওই হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে যান বর সাবিত ইসলাম। মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি ছেলের শ্বশুর মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

শেখ শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে বাড়ির পাশের উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বর নিয়ে কনের বাড়িতে গেছে হেলিকপ্টার। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বউ নিয়ে আবার ওই মাঠেই ফিরে আসবে। ছেলের বিয়েতে সব আত্মীয়স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের দাওয়াত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় দুজন বাসিন্দা জানান, ‘আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টারে চড়ে কেউ বিয়ে করতে যাননি।’ এ জন্য হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে তাঁরা এসেছেন। মাঠে হেলিকপ্টার নামার পর থেকে চান্দাইকোনাসহ আশপাশের এলাকার শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হয়।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, একটি বিয়ের জন্য চান্দাইকোনা গ্রামে হেলিকপ্টার নামবে, এমন একটি আবেদন তাঁরা পেয়েছেন। সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিকেল পাঁচটার দিকে চান্দাইকোনা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বর-কনেকে নিয়ে হেলিকপ্টার ফিরে আসেনি। মাঠে কথা হয় স্থানীয় একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টারে বর-কনে আসবে শুনে দেখতে এসেছি।’