বরিশালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৫ জনের

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। শয্যা না পেয়ে অনেককে গাদাগাদি করে মেঝেতে ঠাঁই নিতে হচ্ছে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে আজ রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এটি বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর বিভাগে সর্বোচ্চ সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১। আর ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত ৪৭৭ জন ডেঙ্গু রোগীকে নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৩৪৪।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৩ দিনে বিভাগে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৫৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর এই ২৩ দিনে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৪ জন, যা মোট আক্রান্ত রোগীর ৩৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পিরোজপুরের নেছারাবাদের বাসিন্দা তানভীর হোসেন (১৬), বরগুনার বেতাগী উপজেলার আবদুল জলিল (৫৬), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রিনা বেগম (৪৫), পিরোজপুর সদরের দুর্গাপুর গ্রামের লাইজু আক্তার (৪৩) ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেষ্টকাটি গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৬৫)।

স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগে গত জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন ৪ হাজার ৮৬৭ জন। আর মারা যান ৯ জন। গত আগস্টে মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে মৃত্যু হয় ২৯ জনের, যা মোট মৃত্যুর ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা জুলাইয়ের দ্বিগুণের বেশি হয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ২৩৯ জন, যা মোট আক্রান্ত রোগীর ৫১ দশমিক ১৫ শতাংশ। তার আগে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ছিলেন মাত্র ৪৩৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছিল এপ্রিল ও জুনে একজন করে। বিভাগের হাসপাতালগুলোয় গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ১ হাজার ৩০১ জন রোগী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এর আগে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত আগস্ট থেকে মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার পর তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে জানান তিনি।