প্রযুক্তির ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ

শিখোর–প্রথম আলোর পক্ষ থেকে মাগুরার চার উপজেলার কয়েক শ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে মাগুরা শহরের আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

মানুষের স্বপ্ন যত বড়, তার জগৎ তত বেশি প্রসারিত। এখন স্বপ্ন দেখার সময়। আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি, যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তির কারণে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে মুঠোফোন। যেখানে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগের পাশাপাশি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় আছে। শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মাগুরায় শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখো ও প্রথম আলোর আয়োজনে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ রিজভী জামান এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

সংবর্ধনা উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকে কৃতী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কারও সঙ্গে শিক্ষক, কারও সঙ্গে অভিভাবক। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান।

প্রথম আলো বন্ধুসভা মাগুরার সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান, মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান আবু সাঈদ মোল্লা, মাগুরা বন্ধুসভার সভাপতি ঝিনাইদহ সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান শফিউল্লাহ প্রমুখ।

সংবর্ধনা উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকে কৃতী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কারও সঙ্গে শিক্ষক, কারও সঙ্গে অভিভাবক। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়
ছবি: প্রথম আলো

বক্তারা বলেন, প্রথম আলো শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের আয়োজন করে। গণিত অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড আয়োজনের পাশাপাশি ভাষা নিয়ে কাজ করে। বছরজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন নানা আয়োজন করায় তাঁরা প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান।

সংবর্ধনা পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন বলে, যেকোনো ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে মানুষ আরও ভালো কাজ করতে আগ্রহী হয়। প্রথম আলোর এ আয়োজন তাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এমন আয়োজনের জন্য তারা প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানায়।

অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন গান ও কবিতা আবৃত্তি করে। এ ছাড়া বন্ধুসভার সদস্য ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ক্রেস্ট, সনদ, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস বক্স।

সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।