নোয়াখালীতে বিএনপির আরও ছয় নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ কেন্দ্র করে এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলা থেকে জেলা বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর নোয়াখালী সদর উপজেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির আরও তিন কর্মীকে। এ নিয়ে গত দুই দিনে নোয়াখালী জেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

বিএনপির নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার সোনাইমুড়ীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি সামনে রেখে দলটির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান পরিচালনা করে সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ। অভিযানে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন (৫২) ও উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আজাদ হোসেনকে (৪৫) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল রাতে সেনবাগ উপজেলার বিন্নাগনি গ্রামে অভিযান চালিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান সালাউদ্দিন ওরফে লিটনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে সেনবাগ থানা-পুলিশ। সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্যাহ বলেন, সেনবাগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

এদিক গতকাল রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে বিএনপির তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা গত মঙ্গলবার জেলা শহরে পুলিশের ওপর হামলা ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামি।

জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের এভাবে গ্রেপ্তার ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে বানচাল করতে এবং ক্ষমতাসীন দলকে খুশি করতে গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযান শুরু করেছে। গত দুই দিনে সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।