রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকারকে বহিষ্কারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ
একটি অশ্লীল ভিডিওকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ রোববার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘রাজশাহী আওয়ামী পরিবার’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গতকাল শুক্রবার একই স্থানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার এলাকায় ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজশাহীর পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে আদালত চত্বর ঘুরে কোর্ট বাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
রোববারের কর্মসূচির ব্যানারে আগের মতোই লেখা ছিল, ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নীতিনৈতিকতা–বিবর্জিত রাজনীতির দুষ্ট ক্ষত ডাবলু সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ নেতা-কর্মীদের হাতে থাকা ফেস্টুনে ডাবলুর ছবিতে ক্রসচিহ্ন দিয়ে লেখা ছিল— ‘নির্বাচনের বছরে দল বিব্রত হয়, এমন কাউকে দলে এক সেকেন্ডও রাখা যায় না’।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি অশ্লীল ভিডিও বিভিন্ন লোকজনের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। এ ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরের বোয়ালিয়া থানায় ডাবলু সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে তিনি দাবি করেছেন, ভিডিওটি সম্পাদন করা। তাঁর দাবি, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখ তাঁর। তবে শরীরের নিচের অংশ অন্য কারও। তিনি দাবি করেছেন তাঁর সম্মানহানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করা হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন আইনজীবী ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু রায়হান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় দেখতে চাই। এ কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব রাজাকার পরিবার ঢুকে পড়ে কুরুচিপূর্ণ কাজ করে দলকে নষ্ট করছে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তাঁর এই নৈতিক স্খলন যদি আমরা মেনে নিই, তাহলে আগামী দিনে বিরোধী দল আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। তাই আমরা চাই ডাবলু সরকারের শাস্তি হোক।’
কর্মসূচিতে আরও বক্তৃতা করেন ছাত্রনেতা শোভা সরকার, সাবেক কৃষক লীগ নেতা মেহবুব রশীদ বাবু, মো. মোবাশ্বের, সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান বুলবুল, আবদুল হালিম, মো. উজ্জ্বল প্রমুখ। এ কর্মসূচিতে আগের দুই দিনের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল।