বিরামপুর-কাটলা সড়ক
মরা গাছের নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
সড়কের দুই পাশে ছোট বড় শতাধিক রেইনট্রি, শিশু, কড়ই ও ইউক্যালিপটাসগাছ মরে গেছে।
পাকা সড়কের দুই পাশে শতাধিক মরা গাছ। এসব গাছের ডালপালার নিচ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। যেকোনো সময় ডাল ভেঙে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই চিত্র দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিরামপুর-কাটলা সড়কের। সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় আট কিলোমিটার। গতকাল সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, সড়কের দুই পাশে ছোটবড় শতাধিক রেইনট্রি, শিশু, কড়ই ও ইউক্যালিপটাসগাছ মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
কোনো কোনো গাছের মরা ডাল সড়কের ওপরে মাঝখানে হেলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
কাটলা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের বাড়ির সামনে রয়েছে তাঁর চালকল। ওই চালকল ঘেঁষে দুটি বড় রেইনট্রিগাছ দীর্ঘদিন ধরে মরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিদিন সেখানে ধান ভাঙাতে আসেন অনেক মানুষ। কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য গাছ দুটি কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। কোনো কাজই হচ্ছে না। যখন জোরে বাতাস ওঠে, তখন সবাই আতঙ্কে থাকি—এই বুঝি মাথার ওপর মরাগাছ ভেঙে পড়ল।’
এ সড়কে নিয়মিত যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করেন ইজিবাইকচালক শহীদ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এই পথে মরা গাছের নিচ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করতে আতঙ্কে থাকি। আমার গাড়ির ওপর মরা গাছ ভেঙে পড়লে গাড়িসহ যাত্রীর ক্ষতি হবে।’
মুকুন্দপুর বাজারের দোকানদার মাহমুদুর হোসেন মিন্টু বলেন, এই বাজারের আনারুল মেম্বারের দোকানের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কয়েক বছর ধরে মরে আছে। গাছটির পাশে পল্লী বিদ্যুতের অনেকগুলো লাইন রয়েছে। ঝড়ে গাছটি পড়ে গেলে ছয় থেকে সাতটি দোকানের ক্ষতি হবে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফরেস্টি সেক্টর প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৫ সালে সড়কের পাশে গাছ লাগানো হয়েছিল। বন বিভাগের চরকাই (বিরামপুর) রেঞ্জ কর্মকতা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, ‘প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা যদি মরা গাছগুলো কাটার ব্যাপারে বন বিভাগে আবেদন করেন, তাহলে আগামীতে উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সভার সিদ্ধান্ত বন বিভাগের জেলা দপ্তরকে জানানো হবে।’