৬ ঘণ্টা পর উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার ট্রেন চলাচল শুরু

ছয়ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের লালপুরের আব্দুলপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস
ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুরে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়টি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিলম্ব হয়। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

এ ছাড়া এই দুর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আবদুলপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একটি মালবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ও লোকবল ঘটনাস্থলে গিয়ে বগিগুলোকে উদ্ধার ও লাইন মেরামতের কাজ শুরু করে। প্রথমে একটি বগিকে তুলে অন্য লাইনে দিয়ে অন্যত্র পাঠানো হয়। অন্য দুটি বগির চাকা ও যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় বগি দুটিকে তুলে পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে লাইন মেরামত করতে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা বেজে যায়।

আবদুলপুরের রেলস্টেশন মাস্টার জিয়া উদ্দিন ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এক এক করে নাটোর ও আত্রাই রেলস্টেশনে থেমে থাকা ঢাকা ও খুলনামুখী মোট ছয়টি ট্রেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমে দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। থেমে থাকা ট্রেনগুলোর যাত্রীদের প্রায় ছয় ঘণ্টা যাত্রা বিলম্ব হয়। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন

পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল জানান, কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারও অবহেলা প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। এটা নাশকতার ঘটনা নয়।