পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ, এক দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার

নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ওই জেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায়
ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর লক্ষ্মীরচর এলাকায় নৌ পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন শাকিল হোসেন ব্যাপারী (১৯) নামের এক জেলে। আজ বুধবার বিকেলে নদীর আজকা বাজার এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।

মারা যাওয়া শাকিল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বলাশিয়া এলাকার মো. রহিম ব্যাপারীর ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ট্রলারের পাখায় লেগে তিনি আহত হন। পরে নদীতে ডুবে মারা যান।

নৌ পুলিশের ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীরচর এলাকায় মা ইলিশ নিধন রোধে নিয়মিত অভিযানে যায় নৌ পুলিশ। এ সময় একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধরার চেষ্টা করে পুলিশ। তখন ট্রলারে থাকা আটজন জেলে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ সাতজনকে আটক করলেও একজন নিখোঁজ ছিলেন। ওই সাতজনকে থানায় এনে তাঁদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়।

ওসি কামরুজ্জামান আরও বলেন, নিখোঁজ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি সত্য। জেলেরা পুলিশ দেখে পালানোর সময় ট্রলারে থাকা ৮ জেলেই নদীতে ঝাঁপ দেন। সাতজনকে জীবিত আটক করা সম্ভব হলেও একজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা ধারণা করছেন, নদীতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে ট্রলারের পাখার সঙ্গে ধাক্কা লেগে শরীরে আঘাত পেয়ে তিনি ডুবে মারা গেছেন।