বিরামপুরে ফিলিং স্টেশনে ভয়াবহ আগুন, ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি

দিনাজপুরের বিরামপুরে শারমিন ফিলিং স্টেশনের তেলের ডিপোতে আগুন। বুধবার বিকেলে উপজেলার ঘোড়াঘাট রেলঘুণ্টি এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাট রেলঘুণ্টি এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনের ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে ফিলিং স্টেশন চত্বরের ডেলিভারি পয়েন্টের পূর্ব পাশে পেট্রলের ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। তবে ফিলিং স্টেশনের মালিক দাবি করেছেন, অগ্নিকাণ্ডে তাঁর প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বেলা তিনটার দিকে একটি তেলের লরি থেকে ডিপোতে তেল আনলোড (নামানো) করছিলেন ফিলিং স্টেশনের লোকজন। এর মধ্যে হঠাৎ ডিপোতে আগুন ধরে যায়। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট উচ্চতায় কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। পরে পাশে থাকে অন্য দুই ডিপোতে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং মুঠোফোনে থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এরপর প্রথমে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তেলের ডিপোর চারপাশে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে নবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সিনথেটিক ফোম প্রয়োগ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ফিলিং স্টেশনে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাঁদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আগেই বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল। পরে নবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস তেলের ডিপোতে আগুনের মধ্যে সিনথেটিক ফোম প্রয়োগ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, আগুনের উৎস খুঁজতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বলা যাবে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।

শারমিন ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ফিলিং স্টেশনের নিচে তেলের তিনটি ট্যাংক ছিল। প্রতিটি ট্যাংকে ৯ হাজার লিটার তেল থাকে। তিনটিতে প্রায় ২৭ হাজার লিটার তেল ছিল। ট্যাংকগুলোয় আগুন লাগার ফলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হয়তো পরে বলা যাবে।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন ও বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল আলমসহ থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ফিলিং স্টেশনে একটি তেলের লরি থেকে তেল নামানোর সময় আগুন ধরে যায়। তখন সেখানে ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক ও কর্মীরা ছিলেন। কীভাবে আগুন লেগেছে, এখনো জানা যায়নি।