কমিশন বাড়ানোর দাবিতে খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

খুলনাসহ দেশের তিন বিভাগে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো, ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ধর্মঘট চলছে। এ জন্য ডিপো থেকে ট্যাংক-লরিগুলো ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেল পৌঁছে দেয়নি। আজ সকালে খুলনার মেঘনা ডিপো গেট এলাকায়ছবি: সাদ্দাম হোসেন

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো, ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ডিপো থেকে জ্বালানি উত্তোলন ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৫ জেলায় সরবরাহ বন্ধ আছে। এ ধর্মঘট চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। খুলনার পাশাপাশি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ডিপো থেকেও তেল উত্তোলন বন্ধ আছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবি হলো বর্তমান জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো, তেলের ডিপো থেকে ৪০ কিলোমিটারের বাইরে ট্যাংক-লরির ভাড়া বাড়ানো এবং পেট্রলপাম্পের ওপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স প্রথা বাতিল করা।

খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক ও ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের দামের ২ দশমিক ৭১ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। অতীতে তারা কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (বিপিসি, জ্বালানি মন্ত্রণালয়) একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফলাফল পাননি। জ্বালানি তেলের দাম সম্প্রতি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়লেও কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁরা প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কমিশন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা চান ৪০ কিলোমিটারের বাইরে ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি এবং পেট্রলপাম্পের ওপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স প্রথা বাতিল করা হোক।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আর প্রতিশ্রুতি নয়, ন্যায়সংগত দাবির বাস্তবায়ন চাই’—এ স্লোগান সামনে রেখে ১২ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এর কারণে খুলনার ৩টি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী ও রংপুরেও ধর্মঘট হচ্ছে। তবে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলেও এ সময়ে ফিলিং স্টেশন থেকে তেল (নিজ নিজ পাম্পে মজুতকৃত) সরবরাহ অব্যাহত আছে।