পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়ানোর দায়ে কলেজছাত্রের পাঁচ বছরের সাজা

আদালত
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগছে’—এমন গুজব ছড়ানোর দায়ে মো. রাজিব (২১) নামের এক কলেজছাত্রকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান আলাদা দুটি ধারায় তাঁকে এ সাজা দেন।

দণ্ড পাওয়া রাজিবের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর হাজিপাড়া গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী। তাঁকে দুই ধারায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বেগম ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজিবকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর থানা-পুলিশ। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক শামীম সরোয়ার। তাঁর ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটকে মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।

ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, সরকারের নির্দেশে ৪১টি দল মাথা সংগ্রহে নেমেছে। মাথা সংগ্রহের জন্য কী কী অস্ত্র আছে তারও বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া তাদের প্রধান লক্ষ্য নারী ও শিশু বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

মামলায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, মিথ্যা তথ্য প্রচারসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার অভিযোগ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করলেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী ইসমত আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, আসামি রাজিবকে একটি ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেকটি ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।