আজ রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার জুম্মাপাড়া পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, অপহৃত ব্যক্তি পুরাতন রোহিঙ্গা নাগরিক। তিনি হ্নীলার জাদিমোরার জুম্মাপাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন। পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, আজ রোববার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার জুম্মাপাড়ায় পাহাড়ি খেতে কাজ করতে যান স্থানীয় মোহাম্মদ ছৈয়দ। একপর্যায়ে মুখোশ পরা একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি। এর আগেও জুম্মাপাড়ার আশপাশের পানখালী ও মরিচ্চ্যাঘোনা এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণের দাবিতে কৃষক মোহাম্মদ ছৈয়দকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ি এলাকার লোকজন আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, হ্নীলার জুম্মাপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে এক কৃষককে অপহরণের খবর স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে জেনেছেন। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল গেছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে। তবে এখন পর্যন্ত অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ছয় মাসে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক ৪৮ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ৩১ জন। বাকি ১৭ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ২৯ জন মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর ছাড়া পেয়েছেন। সবশেষ ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকার গহিন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হন সাতজন। সাড়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাঁদের ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। ৩ মার্চ দুই শিশুকে অপহরণ করার পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের একই এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতরে খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আটজন। ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর তাঁরা ছাড়া পান।