আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস: এডিসি জিসানুলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জিসানুল হকের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় গত ২৩ জুন জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা শাখা। এর আগে ১৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গাজীপুর মহানগর পুলিশের সাবেক এডিসি জিসানুল হককে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার আদেশটি বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (বিএসআর) পার্ট-১, বিধি-৭২, ৭৩ মোতাবেক প্রত্যাহার করা হলো। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাঁর সাময়িক বরখাস্তকাল কর্তব্যরতকাল হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বিধি মোতাবেক বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, জিসানুল হককে আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) যোগদান করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুনে ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে আছাদুজ্জামান মিয়ার ‘ইএসএএফ’ ছড়িয়ে পড়ে। ইএসএএফ হলো, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রাইবার অ্যাপ্লিকেশন ফরম, যা মূলত মুঠোফোন গ্রাহকেরা পূরণ করে থাকেন। এই ফরমে একজন ফোন গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য থাকে। এ তথ্য কীভাবে অনলাইনে গেল, সেটি নিয়ে তদন্ত করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তদন্তে বেরিয়ে আসে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পদের এক কর্মকর্তা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আছাদুজ্জামান মিয়ার তথ্য চেয়ে বৈধ আড়ি পাতা শাখার এক এসআইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেন। সেই বার্তার ভিত্তিতে তিনি অন্য একজন এএসআইকে সেটা ডাউনলোড করতে বলেন। পরে সেটা ওই কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়।