স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধর ও সিগারেটের ছেঁকা, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর ও সিগারেটের ছেঁকা দেওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মেহেদী পলাশ (২৫)। গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি গ্রামে তাঁর বাড়ি। আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে নিজ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সামিউল আলম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। সামিউল গোদাগাড়ী পৌরসভার গড়েরমাঠ মহল্লার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। গোদাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র সে। তাকে নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন সামিউলের মা হালিমা বেগম।

সামিউলকে দিয়েই তার বন্ধুদের ফোন করিয়ে ডাকানো হয়। বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে।

নির্যাতনের শিকার সামিউল জানায়, মেহেদী পলাশ মাদকসেবী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে তার চাচাতো বোন। এ কারণে সামিউল তার বোনকে মেহেদীর সঙ্গে কথা বলতে বারণ করে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গোদাগাড়ীর ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে বুধবার সামিউলকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর উপজেলা সদরের ডাইংপাড়া মোড়ে তাকে মারধর করা হয়। পরে আবার মোটরসাইকেলে তুলে লস্করহাটি গ্রামের একটি ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে ছয় থেকে সাতজন মিলে তাকে নির্যাতন করেন। এ সময় সামিউলের শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বলন্ত সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া হয়। চড়থাপ্পড়সহ লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। পরে সামিউলকে দিয়েই তার বন্ধুদের ফোন করিয়ে ডাকানো হয়। বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী সামিউলকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সে মামলায় মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা শুনেছিলাম, মেহেদী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ পলাতক অন্য পাঁচ এজাহারভুক্ত আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।