ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ গৃহবধূর

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কুলাঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান আলীর (৩০) বিরুদ্ধে। লালমনিরহাট সদর থানায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ–সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। তবে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোলাইমান আলী দীর্ঘদিন ধরে সনাতন ধর্মের ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় সোলাইমান ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় কয়েকজন ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালে সোলাইমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাঁকে আটক করেন এলাকার লোকজন। পরে সোলাইমানের লোকজন এসে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই দিনই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এসে মামলা করতে চান। কিন্তু সোলাইমান আলীর লোকজন ওই রাতে ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোর করে গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীর স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। পরে তাঁদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এরপর প্রাণের ভয়ে ওই দম্পতি এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরে মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গে থানায় এসে সোলাইমান আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, এ–সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন মঙ্গলবার রাতে। এখনো মামলা রেকর্ড করা হয়নি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে তিনি বাইরে আছেন। এলাকায় গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদর উপজেলার সভাপতি বিধু ভূষণ রায় বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় তাঁরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন।