ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙার অভিযোগে যুবক আটক
ফরিদপুরে একটি মন্দিরের বারান্দায় ঢুকে সরস্বতীপ্রতিমা ভাঙার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার কালীমন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ওই যুবকের নাম মো. মিরাজউদ্দীন (৩০)। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বাজেদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর শহরে ইজিবাইক চালান। তিনি ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য রামচন্দ্র মালো বলেন, ‘আমাদের মন্দিরটির অবস্থান ভাটিলক্ষ্মীপুরের একটি সড়কের পাশে। গতকাল রাত ১০টা ৫৩ মিনিটের দিকে মন্দিরের সামনে একটি ইজিবাইক এসে দাঁড়ায়। এরপর ওই ইজিবাইকের চালক মন্দিরের বারান্দায় ঢুকে নির্মাণাধীন সরস্বতীপ্রতিমা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন। এই একই ব্যক্তি ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ইসকন মন্দিরের সরস্বতীপ্রতিমা ভেঙেছিলেন। তখন তাঁকে পাগল বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।’
মন্দির কমিটির দেওয়া ২৬ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি মন্দিরের সামনে ইজিবাইক রেখে মন্দিরের বারান্দায় ঢোকেন। রাস্তার দিকে মুখ করে বানিয়ে রাখা প্রতিমা পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে প্রতিমাটি ভেঙে যায়।
আগামী সোমবার অনুষ্ঠেয় সরস্বতীপূজায় ছয় হাজার টাকা চুক্তিতে একজন মৃৎশিল্পীকে দিয়ে এ প্রতিমা বানানো হচ্ছিল বলে জানান সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সমর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মন্দিরের পাশের একটি ছাত্রাবাসে থাকি। এখানে আমরা অনেক ছাত্র মিলে সরস্বতীপূজা করতে চেয়েছিলাম। অনেক বন্ধুকে নিমন্ত্রণও দিয়েছি। কিন্তু এই প্রতিমা এমন এক সময় ভাঙা হলো যে সংস্কারের সময়ও পাওয়া যাবে না।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় মানুষের হাতে আটক হওয়া যুবককে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, এ ঘটনায় মন্দির কমিটির একজন বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হওয়ার পর ওই যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।