সাটুরিয়ায় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ বিকেলে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বুধবার বিকেলে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মজলিস খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারসহ বিএনপি, এর সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ২৮ আগস্ট উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বিকেলে দিঘলিয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা আয়োজন করেছিল উপজেলা বিএনপি।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মজলিস বলেন, বিকেলে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীকে নিয়ে সভা চলছিল। বিকেল পাঁচটার দিকে যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এবং স্থানীয় দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিউল আরেফিনের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির সভায় হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন। হামলাকারীদের মারধরে তিনিসহ বিএনপি, যুবদলের ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, বটতলা এলাকা দিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা একটি অনুষ্ঠানের দাওয়াতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উসকানিমূলক স্লোগান দেন। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের মোটরসাইকেলের বহরে হামলা করেন বলে তিনি দাবি করেন।

দিঘলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন, বটতলা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।