জগন্নাথপুরে যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল, পরে নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করেন এক নারী। বিষয়টি জানতে পেরে বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। জগন্নাথপুর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

লিখিত অভিযোগে ওই নারী বলেন, গত ৫ আগস্ট মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে সাজু মিয়া, আব্দাল মিয়া ও আলাল মিয়া তাঁকে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা কেন্দ্রের ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পরে জগন্নাথপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফখরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি বখাটেরা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে (নারীকে) ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরদিন তিনি জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান রহমান ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।

এসআই মিজান রহমান বলেন, ওই নারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পরের আত্মীয়। তাঁরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সময় চেয়েছেন, তাই তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছে। যৌন হয়রানি কিংবা ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ সঠিক নয়।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। তদন্ত কর্মকর্তা মামলা না নিয়ে আপসের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাই নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার বিচার চেয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও জগন্নাথপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।’

সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।