ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ঝামেলা বেশি। আর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে খুবই দ্রুততম সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা যায়। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। এ জন্য সব শিক্ষক গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সভায় কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, অনতিবিলম্বে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা, পয়লা জুলাই নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু, আবেদনের জন্য ন্যূনতম ফি নির্ধারণ ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ভর্তি পরীক্ষার পর শুধু ভর্তি হওয়ার জন্যই ক্যাম্পাসে আসবে এবং বাকি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সভা ও সাধারণ সভায়ও গুচ্ছ থেকে সরে এসে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তাঁরা। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে উপাচার্যকে জানানো হয়। পরে গত বুধবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থীদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামায়াতপন্থীদের গ্রিন ফোরামের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় শিক্ষক সংগঠনগুলো গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন।